অনিচ্ছাকৃত ভুলে আরেকজনের লাগেজ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুরির অভিযোগও পাওয়া যায়।
এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে লাগেজ তোলা-নামা করা হয়। এমনকি উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীদের লাগেজ নামার পর তা কনভেয়ার বেল্ডে ছুড়ে মারা হয়।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়নের কথা বললেও ভোগান্তি থামানো যাচ্ছে না।
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, লাগেজ ভাঙা এবং লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগাসহ নানা ধরনের ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিচ্ছাকৃত ভুলে আরেকজনের লাগেজ নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুরির অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে। এসব ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মানোন্নয়নের কথা বললেও ভোগান্তি থামানো যাচ্ছে না। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর পরেও উন্নত হয়নি বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান। এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে লাগেজ তোলা-নামা করা হয়। এমনকি উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীদের লাগেজ নামার পর তা কনভেয়ার বেল্ডে ছুড়ে মারা হয়। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ট টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়াতে এরইমধ্যে ১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন ছয়টি বেল্ট লোডার বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে। তারা বলছে, বেল্ট লোডারগুলো ছোট ও মাঝারি ধরনের উড়োজাহাজ যেমন-বোয়িং-৭৩৭, বোয়িং এ-৩২০ এবং ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজে কার্গো ও লাগেজ তোলা ও নামানোর কাজে ব্যবহার করা হবে। বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম জানান, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীরা দ্রুত সময়ে লাগেজ পাচ্ছে। উড়োজাহাজ থেকে নামার ১৮ থেকে ৫১ মিনিটের মধ্যে লাগেজ ডেলিভারির হার ৮৫ শতাংশের বেশি হয়েছে। দ্রুতই তা শতভাগ করার প্রচেষ্টা চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

যাত্রী হয়রানি, দুর্ভোগ বন্ধ হচ্ছে না শাহজালাল বিমানবন্দরে
- আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৪ ১২:৫৩:২৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৪ ১২:৫৩:২৯ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ